Logo

হারানো রঙিনের খোঁজে মুনষ্টার পেইন্টস :

অনেক সুন্দর রঙিনকে পেছনে ফেলে এসেছি আমরা সবাই। মাঝে মধ্যেই সেই রঙিন গুলোকে খুঁজে ফিরি আমরা। হারিয়ে যাওয়া সেই রঙিন দিন এবং মুহূর্তগুলোকেই খোঁজার চেষ্টা করেছে মুনষ্টার পেইন্টস।

চিঠির অপেক্ষা

টেনশনহীন শীতের রঙিন সকাল গুলো আর নেই। নেই সকাল হলে গোয়েন্দা গল্পের হিরো হবার সেই ফ্যান্টাসি গুলো। কাঠের পুরনো সেই দরজাটা কি এখনো আছে? সকাল হলে সেখানে এখন কে বসে? মিষ্টি করে এখন কে হাসে?

চিঠির অপেক্ষা

ছুটতে থাকা জীবন থেকে শীতের সেই রঙিন বিকেলগুলো হুট করেই যেনো হারিয়ে গেছে। খেলার জন্য কেউ এখন আর ডাকতে আসেনা, বিকেলের ধুলো গায়ে মেখে এখন আর ঘরেও ফেরা হয়না। বছর ঘুরে শীত আসে ঠিকই তবে আমাদের শীত গুলো আর আসে না।

চিঠির অপেক্ষা

শীতের সকালে এখনো নানান পদের পিঠা তৈরি হয় গ্রামে। এখনো সকালের মিষ্টি রোদে ভেসে যায় উঠান গুলো। তবে গায়ে কাঁটা দেয়া শীতের সকালে গরম পিঠার সেই স্বাদ, আর বাঁশ গাছের মাঝে উঁকি দেয়া মিষ্টি সূর্যের রঙিন সেই ভোর গুলোকে এখনো অনেকেই খুঁজে ফেরে।

চিঠির অপেক্ষা

শীতের সন্ধ্যা গুলো তখন নামতো রাজ্যের সব আনন্দ নিয়ে। নির্ভেজাল আড্ডা, কোলাহল আর হাজার শব্দে মুখরিত হতো পাড়ার ছোট গলি গুলো। রোমাঞ্চকর রঙিন সেই সন্ধ্যা গুলো এখন শুধুই স্মৃতিতে।

চিঠির অপেক্ষা

দিনের পর দিন অপেক্ষা করার পর স্বামীর চিঠিটা যখন হাতে আসতো, তখন সাদা কালো সেই চিঠিটাকেই দুনিয়ার সবচাইতে রঙিন জিনিস মনে হতো বধূর।

সাদাকালো টিভি

বাসায় সাদাকালো টিভি ছিলো তখন, বিজ্ঞাপন আর নাটকে কে কোন রঙয়ের পোশাক পরলো সেটা কল্পনা করতাম আমরা মাঝে মাঝে। তবে এই কল্পনায় বিরক্তি ছিলোনা এতোটুকুও, উপরন্তু সাদা কালো টিভিতেই সময়টা রঙিন ছিলো তখন।

রকেট ভ্রম

দূর আকাশে প্লেন উড়ে গেলে সেটাকে রকেট ভাবতাম আমরা... "ওটা রকেট নয় প্লেন" এই ভুলটা যেদিন ভাঙলো সেদিনই আমরা বড় হয়ে গেলাম, রঙিন শৈশব শুধু স্মৃতিতেই রয়ে গেলো।

আড্ডা সন্ধ্যা

সন্ধ্যার পর ইলেক্ট্রিসিটি চলে গেলে চারপাশটা তখন অন্ধকার হয়ে যেতো। তবে সেই অন্ধকারটাকেই সবচাইতে বেশি রঙিন মনে হতো তখন। একটু পরেই যে পাড়ার সবাই উঠানে নামবে, জমিয়ে আড্ডা হবে।